পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র শুরু করেছিল রাজ্যের প্রতিটি জেলাতে। বিগত বছরের 12 ই অক্টোবর এই প্রকল্প শুরু হয়েছিল রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর একটি লক্ষ্য বিনামূল্যে রাজ্যের প্রতিটি মানুষের যেকোনো বিষয়ের পরিষেবা দেওয়া।
প্রতিটি জেলায় যে সহায়তা কেন্দ্র গুলি খোলা হয়েছিল ইতিমধ্যেই সেটি চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করেছে। রাজ্যের 5 কোটি বেশির মানুষ BSK এর পরিষেবা পেয়েছেন, বৃহস্পতিবার সেই কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, 'বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের সুবিধা ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষ পেয়েছেন।
মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে 10 হাজারের বেশি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রয়োজনে মানুষের সুবিধার্থে পাড়ায় পাড়ায় এই সহায়তা কেন্দ্র পৌঁছে যাবে। এই প্রকল্প পাড়ায় পাড়ায় পৌঁছে গেলে যেরকম মানুষের সুবিধা পাবেন, সেরকমই অনেক কর্মসংস্থান বাড়বে।
বর্তমানে রাজ্যের 2561 BSK রয়েছে এবং সেখানে কর্মরত রয়েছেন 7511 জন কম্পিউটার অপারেটর। প্রতিটা কেন্দ্রে 2 থেকে 3 অপারেটর রয়েছেন ।এই অপারেটররা সমস্ত ধরনের অনলাইন কাজ যেমন কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, খাদ্যসাথী, কৃষক বন্ধু ,জমির মিউটেশন ইত্যাদি পরিষেবা সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে দেয়া হয়। রবিবার এই পরিষেবা 5 কোটিরও উপরে অতিক্রম করে গিয়েছে।এক এক জন ব্যক্তি একাধিক পরিষেবা পেয়েছেন ।সেই নিরিখে উপকৃত হয়েছেন রাজ্যের 3 কোটি 72 লক্ষ্য 9201 জন মানুষ।
সবথেকে বেশি পরিষেবা পেয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার 60 লক্ষ 55 হাজার 747 জন। এরপরে স্থানে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার 55 লক্ষ 66 হাজার মানুষ । 32 টি বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা দেয়া হয়েছে, মোট পরিষেবার 92.3 শতাংশ দেয়া হয়েছে গ্রামীণ এলাকার মধ্যে। উপকৃত দের মধ্যে 35 শতাংশ মহিলা, 36 শতাংশ 6.8 শতাংশ তপশিলি জাতি/ উপজাতি ও সংখ্যালঘু এই সুবিধা পেয়েছেন ।করোনাকালে এই ধরনের পরিষেবা খুবই সহজে সাধারণ মানুষ বিনামূল্যে পেয়েছেন।
রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র শুরু হলে তাতে নিযুক্ত হবে প্রচুর কম্পিউটার অপারেটর। সম্ভবত এই পদে কর্মী নিয়োগ করা হবে তার বিস্তারিত বিবরণ জানতে আমাদের ওয়েবসাইটে জানতে পারবেন।
কোন মন্তব্য নেই: